রাজধানীর ভাটারা থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা ফিরোজা আসরাফী (২৭) এক নারী বিষপান করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই নারী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পারিবারিক কলহের জেরে পল্লবীর একটি বাসায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেন ফিরোজা। পরে তিনি নিজেই ভাটারা থানা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামীকে। সেখান থেকে ভাটারা থানা পুলিশ ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার পল্লবী থানা এলাকার বাসায় ওই নারী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেন। পরে সে নিজেই ভাটারা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ওই নারীর স্বামীর আত্মীয়-স্বজন সেই নারীকে আটক করে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। এছাড়াও পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনাটি মিরপুর এলাকায় হওয়ায় পল্লবী থানা থেকেও ওই নারীকে আটক করার জন্য ম্যাসেজ পাঠায়।
তিনি আরো জানান, ভাটারা থানার পুলিশের একটি টিম গিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ওই নারীকে আটক করে নিয়ে আসে। এবং ঘটনাটি ভাটারা থানায় না হওয়ায় ওই নারীকে থানার হাজতে না রেখে নারী ও শিশু ডেস্কের সামনে রাখা হয়। সেখানে দুই নারী কনস্টেবলে পাহারায় বসিয়ে রাখা হয়।
ওসি জানান, সেখানে বসা অবস্থায় ওষুধের কথা বলে কৌশলে নিজের কাছে থাকা লিকুইড জাতীয় বিষ (অ্যাভোকাট) পান করে অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। দ্রুত তাকে নেওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখান থেকে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজা মারা যান।
তিনি বলেন, আগে থেকেই অনলাইন থেকে ক্রয় করা লিকুইড বিষ ছিল ফিরোজার কাছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পল্লবী থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম জানান, স্বামী স্ত্রী কলহের জেরে পল্লবীর একটি বাসায় স্বামীর পুরষাঙ্গ কর্তন করেন ওই নারী। পরে তিনি নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান। ভাটারা থানা পুলিশ আমাদের ম্যাসেজ পেয়ে হাসপাতাল থেকে ওই নারীকে আটক করে নিয়ে যায়। ওই নারী ও তার স্বামী দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কোন্দল ছিল। সেই কারণেই তিনি স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেন। বিষয়টি আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।