ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে ‘জুলাই উইমেনস ডে’। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন নানা কর্মসূচিতে, যেখানে তুলে ধরা হয় এক বছর আগের সাহসিকতা ও প্রতিবাদের স্মৃতি।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঘোষণা দিয়েছেন, প্রতিবছর ১৪ জুলাই ‘নারী শিক্ষার্থী দিবস’ এবং ১৭ জুলাই ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য বলেন, ‘এদিন দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একবছর আগে নারী শিক্ষার্থীরা যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, এঘোষণা তারই প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি।’
২০২৪ সালের ১৪ জুলাই কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ আখ্যা দেওয়া হলে, ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। ওই রাতে ফ্যাসিবাদী দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নারী শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে রাস্তায় নেমে আসেন, যা আন্দোলনকে দেয় নতুন মাত্রা। সেই সাহসিকতার স্মরণেই পালিত হলো জুলাই উইমেনস ডে।
আয়োজনে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান। উপাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, টিএসসি, শামসুন্নাহার হল ও রাজু ভাস্কর্য এলাকায় বড় পর্দায় দেখানো হয় জুলাই অভ্যুত্থানভিত্তিক ডকুমেন্টারি ও অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা। দিনব্যাপী চলা এই আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পোস্টার প্রদর্শনী এবং একটি ড্রোন শো, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও জুলাই মাসকে ঘিরে এধরনের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।