উত্তরার দিয়াবাড়ি মোড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে কলেজে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, আজ দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে মাইলস্টোন কলেজে যান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই উপদেষ্টা সফর রাজ হোসেন ও বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তারা মূলত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশ্যে কলেজে প্রবেশ করেন।
তবে শিক্ষার্থীরা দিয়াবাড়ি মোড়েই তাদের পথরোধ করেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি চাই, ফাঁকা বক্তব্য নয়, বিচার চাই, এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে তিনজনই কলেজ ভবনে ফিরে যান। তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে কলেজের ভেতরে নেওয়া হয়, গণমাধ্যমকর্মীরা ওই সময় বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন।
বিক্ষোভ চলছে, দাবি কঠোর হচ্ছে
বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সহপাঠীদের স্মরণে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। তারা ঘটনাটিকে শুধু দুর্ঘটনা হিসেবে দেখার বিপক্ষে। শিক্ষার্থীদের একাংশ বলছে, “অবহেলা ও পরিকল্পনাহীন উড্ডয়নের কারণে এই প্রাণহানি হয়েছে, এটাকে মানবিক ব্যর্থতা নয়, রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে হবে।”
শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে:
যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নোটিশ কেন ছিল না, তা প্রকাশ করা।
মাইলস্টোন ভবনের অনুমোদন ও ভবন কাঠামোর বিষয়েও তদন্ত।
নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা।
সংশ্লিষ্টদের অপসারণ ও বিচার।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের চোখের সামনে বন্ধুরা পুড়ে গেছে, শিক্ষক মার গেছেন, অথচ এখনো কেউ দায় স্বীকার করছে না। আমাদের কান্না দেখতে কেউ আসুক, কিন্তু যেন মঞ্চ বানাতে না আসে। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পুলিশ এখনো দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, তবে বড় ধরনের হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।