যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতমানের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ আবারও বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশিক্ষণ চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটি লেমোর মেরিন কর্পস বিমানঘাঁটির কাছে বিধ্বস্ত হয়, তবে পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী।
একশ মিলিয়ন ডলারের এ যুদ্ধবিমানটি ‘রাফ রেইডারস’ নামে পরিচিত স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রন ১২৫-এর অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেটি মূলত প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত হয়। এই বছর এটি দ্বিতীয় এফ-৩৫ দুর্ঘটনা। এর আগে জানুয়ারিতে আলাসকার আইয়েলসন বিমানঘাঁটিতে আরেকটি এফ-৩৫এ বিধ্বস্ত হয়। সেখানেও পাইলট বেঁচে যান।
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৭টি দেশের সামরিক বাহিনীর একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র হিসেবে পরিচিত। লকহিড মার্টিনের তৈরি এই বিমানের মূল আকর্ষণ হলো এর স্টেলথ প্রযুক্তি এবং উন্নত কমব্যাট সিস্টেম। তবে একের পর এক দুর্ঘটনা এবং রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত সমস্যার কারণে এফ-৩৫ এর কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এত ব্যয়বহুল একটি বিমানের এমন ঘনঘন বিধ্বস্ত হওয়া শুধু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাই নয়; বরং সামরিক খাতে এর টেকসইতা নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এতে মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়েও এখন সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী অগণিত প্রতিযোগী দেশ যখন যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন এফ-৩৫-এর এমন অবস্থা মার্কিন আধিপত্যের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।