বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্যে আমদানি শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (০১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পার্ল গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। কেপিআর মিলের শেয়ারেও ধস দেখা দিয়েছে। তাদের শেয়ার দর ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। এছাড়া, গোকুলদাস এক্সপোর্টস শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ, আর্বিন্দ লিমিটেড ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ওয়েলস্পান লিভিং শেয়ারদর ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে।
এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম লেখেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে স্টেটমেন্ট দিয়ে জানানো হয় বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়।
প্রেস সচিব লেখেন, আজ চূড়ান্ত আলোচনা শেষে শুল্ক ২০ শতাংশের ঘোষণা এলো। শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বাণিজ্য উপদেষ্টা তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা ২০ শতাংশের নিচে প্রত্যাশা করেছিলাম।
এর আগে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শুক্রবার দেওয়া এক ঘোষণায় জানানো হয়, আজ ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই ঘোষণায় আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র একইসঙ্গে একাধিক দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।