২২ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩:০৩ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাদা পাথর ৭ দিনের মধ্যে আগের জায়গায় ফেলতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩:০৩ পিএম

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া সব পাথর সাত দিনের মধ্যে আগের জায়গায় ফেলার নির্দেশ দিয়ে-এ ঘটনায় জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে সকালে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

ওই রিটে বলা হয়, এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং সেখানে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী এ রিট করেন।

এছাড়া, সিলেটের পর্যটন এলাকা ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রুল জারিরও আবেদন করা হয়েছে রিটে।

রিটে ঘটনা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব ছাড়াও এতে বিবাদী করা হয়েছে পরিবেশ সচিব, আইজিপি, ডিসি সিলেট, ইউএনও কোম্পানিগঞ্জসহ ১০ জনকে। এদিকে গতকাল রাতে, সিলেট জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো ও লুটের পাথর সাদাপাথরে পুনঃস্থাপনে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো, জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ এ পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদাপাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে, যা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, পর্যটন শিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x