সিলেটে অভিযানে চালিয়ে প্রায় ৩৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করে টাস্কফোর্স। এ সময় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আজ সকালে সদর উপজেলার ধোপাগুল–সংলগ্ন সালুটিকর ভাটা এলাকায় সিলেটের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহমুদ আশিক কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ছিলেন। অভিযানে পাথর ভাঙার কারখানার (স্টোন ক্রাশার মিল) আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া পাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, উদ্ধার হওয়া পাথরগুলোর মধ্যে ৯টি ট্রাকে প্রায় সাড়ে চার হাজার ঘনফুট পাথর ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি ও কালীবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার তমালিকা পাল।
তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া পাথরের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ২০ হাজার ঘনফুট পাথর কালীবাড়ি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিম্মায় আছে। সেগুলোও সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে গোয়াইনঘাটের জুমপার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী। এ আগে শনিবার সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল স্টোন ক্রাশার জোন (পাথর ভাঙার অঞ্চল) ও স্থানীয় মহালদিক গ্রামের ভেতর থেকে আড়াই লাখ ঘনুফট পাথর জব্দ করে যৌথ বাহিনী।
পাথরগুলো ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকার বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াত। তিনি জানান, ক্রাশার জোন থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ও গ্রামের ভেতর থেকে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। জব্দ পাথর আবার ভোলাগঞ্জে প্রতিস্থাপন করা হবে। এ নিয়ে গত তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন পাথর জব্দ করা হলো। এ নিয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৪ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে।