দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে স্থানীয় জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অব্যাহত হুমকি-ধমকির মুখে ঠিকাদার মো. আবদুল কাদের প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঠিকাদার আবদুল কাদের জানান, ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দাগনভূঞা পৌরসভার ৮টি সড়ক সংস্কারের কাজ পান তার মালিকানাধীন মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজ।
দরপত্র দাখিলের পর থেকে অজ্ঞাত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। দরপত্র প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর কার্যাদেশ পাওয়ায় গত ২২ জুলাই ১৫-২০ জন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী দাগনভূঞা বাজারে ঠিকাদারকে খুঁজতে থাকে। এদিন বেলা ১২টার দিকে ফাজিলের ঘাট রোডে ফাইন ওভারসীজেও খোঁজ করে। একপর্যায়ে টেন্ডার খোলার ৫দিন পর বিকাল ৫টার দিকে ০১৬১৯৫৩৩৩৩২ এবং প্রায় আড়াই মাস আগে রাত ৮টার দিকে ০১৭৯৭৩৩৯৮০১ নাম্বার থেকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তবে হুমকিদাতাদের নাম পরিচয় জানলেও প্রাণভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি।
রামনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা আবদুল কাদের বলেন, তাকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় ও অফিসের সহকারীদের অফিসে তাকে জায়গা না দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। একইদিন বেলা ১টার দিকে ফেনী রোডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে গিয়েও খুঁজে না পেয়ে গালাগালি করে। ওইসময় তারা বিএনপি নেতা কামরুল উদ্দিন ও আবদুল কাদেরকেও গালমন্দ করে।
পৌরসভা সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই দাগনভূঞা পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল হক দাগনভূঞা বাজারের পুরাতন থানা রোড ও হাজী ক্লিনিক থেকে সওদাগর বাড়ী সড়ক সংস্কার কাজ উদ্বোবন করেন। টেন্ডার নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করার সময় অফিস ফরমেট অনুযায়ী রাস্তার পাশে সাইনবোর্ড লাগালে রাতে অজ্ঞাত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দেয় ও স্টীকার ছিঁড়ে ফেলে। পরে তার লোকজন আবারও ঢালাই করে সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপন করলে গত ২৭ জুলাই রাতে আবারও অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবীতে সাইনবোর্ড কেটে নিয়ে যায়।
আবদুল কাদের জানান, হুমকিদাতাদের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় দাগনভূঞা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, ঠিকাদার কাজ করতে চাইলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবেন।