২২ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৬:৪৬ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৬:৪৬ পিএম

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশপর্যায়ে প্রায় ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার এ ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন। শিক্ষা উপদেষ্টা তারলিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদের চাহিদার বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রায় ৪১ হাজার প্রভাষক/ শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে চাহিদা সংগ্রহ, যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ সুপারিশের সমগ্র প্রক্রিয়া অধিক স্বচ্ছতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে। সি আর আবরার আরও বলেন, প্রথমে আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়েছিলাম। তাতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

লিখিত পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। আর মৌখিক পরীক্ষা দেন ৮১ হাজার ২০৯ জন, তাদের মধ্যে পাস করেন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন। তাদের মধ্য থেকে প্রায় ৪১ হাজার প্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলেন।

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের ফল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটের পাওয়া যাবে। ‘ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি-২০২৫’ নামক সেবা বক্সে এবং ngi.teletalk.com.bd লিংকে পাওয়া যাবে। এছাড়া নির্বাচিত প্রার্থী নিজ-নিজ ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফল দেখতে পারবেন।

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শূন্যপদে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অনুকূলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগপত্র দেবে।

সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগপত্র না দিলে প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিয়োগপত্র প্রদানের পূর্বে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি প্রার্থীর প্রাসঙ্গিক সনদ ও এনটিআরসিএর সুপারিশপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

শূন্যপদের তথ্য ভুল প্রদান, যোগ্যতা যাচাই ছাড়া যোগদানপত্র গ্রহণ, বা প্রতিষ্ঠানের কোনো আইনি জটিলতার কারণে কোনো সমস্যা হলে, তার সম্পূর্ণ দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না।

কোনো প্রার্থী ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তা যোগদানের সময় ধরা পড়লে তার নিয়োগ সুপারিশ বাতিল বলে বিবেচিত হবে। একইভাবে, পুলিশ ভেরিফিকেশনে অনুপযুক্ত বিবেচিত হলে সুপারিশ বাতিল হয়ে যাবে। প্রার্থী যোগদান করলে, যোগদানের সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Joining Status’ অপশনে ‘Yes’ ক্লিক করে তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। যদি প্রার্থী যোগদান না করেন, তাহলে ‘No’ ক্লিক করে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x