আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও স্যোশাল মিডিয়াতে বিএফআইইউ প্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহীনুল ইসলাম সম্পর্কে প্রকাশিত আপত্তিকর সংবাদ/তথ্যের (স্থির/ভিডিও চিত্র) বিষয়ে তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুবকে কমিটির আহ্বায়ক এবং যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন– বাংলাদেশ ব্যাংক নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং পরিচালক (আইসিটি-২ শাখা) মো. মতিউর রহমান। আদেশে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হল।
এদিকে এএফএম শাহীনুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার সমকালকে জানান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধান ছুটিতে থাকবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অথচ আজ বুধবার অফিস করেছে বিএফআইইউ শাহীনুল। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনা তৈরি হয়।
গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের একটি অংশ অবিলম্বে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গভর্নর বরাবর স্মারকলিপি দেয়। এর আগে গত সোমবার শাহীনুলের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শাহীনুল ইসলাম এটিকে ভুয়া দাবি করলেও প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ভিডিও সঠিক বলে জানতে পেরেছে।
এছাড়া বিতর্কিত পরিবহন ব্যবসায়ী এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন এএফএম শাহীনুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অনৈতিক কিছু হয়েছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে।