২ আগস্ট ২০২৫ শনিবার
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২১ এএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

মুজিবনগরের ইতিহাস জাতির গর্ব: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২১ এএম

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখন মুছা যায়না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। মুজিবনগরের ইতিহাস জাতির গর্ব, যা চিরকাল অম্লান থাকবে। ইতিহাস যেন কোনোভাবে বিকৃত না হয়, সেজন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে এই দিবস উদযাপন করতে হবে। এই সরকারই সাংবিধানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কি করবে এটি তাদের ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। গার্ড অ্যানার শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন। এ সময় সাংবাদিকদেও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এই সরকারই সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের উপর কোন কিছু আরোপ করা যায়না। ইতিহাস ইতিহাসই। এ সরকারের শপথ গ্রহণ একটি গৌরবউজ্জল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা ভালবাসার মধ্য দিয়ে সবাইকে স্মরন রাখা দরকার।

ভূয়া মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, সত্যিকারের মুািক্তযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষে কাজ করা হচ্ছে। তবে আদালতে মামলা থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। এ ব্যাপের প্রায় ২ হাজার ৭শর উপরে আদালতে মামলা রয়েছে। এ মামলা নিষ্পত্তি হবার পরই মুক্তিযোদ্ধাদেরও সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে। সেগুলোর নিষ্পত্তি শেষে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে মুজিবনগর আম্রকাণনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্যগুলো ভাংচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো স্থাপনা ঘুরে দেখা হচ্ছে। দ্রæত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। ভুল কিছু এখানে আরোপিত করা হবেনা, সত্যিকার ইতিহাস মোচনও করা হবে না।

বক্তব্য শেষে বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ জনের মধ্যে জীবিত ২ জন আনসার সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন শেখকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ইসরাত জাহান, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ ও পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানমসহ প্রাশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষযক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং আমবাগানের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x