বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করা একটি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। দেশের বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনো ধরনের উসকানি বা ইস্যু তৈরি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে সরকার তা বরদাশত করবে না। বুধবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতের তিনটি মসজিদ ও মন্দিরকে প্রদানকৃত জমির বরাদ্দপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেছেন, খিলক্ষেতে রেলওয়ের জমি উদ্ধারের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের যে মন্দির উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তা মর্যাদাপূর্ণ হয়নি। তাই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় তাদের নতুন উপাসনালয়ের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে। প্রদান করা এই জমি রেলওয়ের নির্ধারিত মূল্যেই নেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রেস সচিব আরও জানালেন, চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী সিঁড়ি সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দিরের দাবি অনুযায়ী মন্দিরে যাতায়াতের সিড়িগুলোর সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি রাজধানীর খিলক্ষেতের তিনটি মসজিদকেও জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করছে, যাতে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায় সমান মর্যাদা ও সুযোগ পায়।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো ষড়যন্ত্র বা উসকানিকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। সরকার চায়, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করুক এবং ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ থাকুক।