তেল আবিব দোহায় আর হামলা চালাবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, নেতানিয়াহু আর কাতারে হামলার নির্দেশ দেবেন না। কাতার আমাদের খুবই ভালো মিত্র এবং অনেকেই এটি জানে না, কিন্তু তিনি (নেতানিয়াহু) ভবিষ্যতে কখনও কাতারে হামলা করার নির্দেশ দেবেন না। এখন থেকে তিনি কাতারের সঙ্গে মিলেমিশে চলবেন।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইল কাতারে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তবে এতে হামাসের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হননি। হামাস জানিয়েছে, হামলার পরও হামাসের ভারপ্রাপ্ত নেতা খলিল আল-হাইয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জীবিত আছেন। তবে হামলায় খলিল আল-হাইয়ার ছেলেসহ পাঁচজন হামাস সদস্য ও একজন কাতারি কর্মকর্তা নিহত হন।
মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন বলছে, কাতারে হামলার আগে নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও, তা অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে গত সপ্তাহের হামলার পর হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেছেন, হামাস নেতারা যেখানেই থাকুক না কেন কোনো ধরনের দায়মুক্তি পাবেন না।
সোমবারই জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও-র সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, প্রত্যেক দেশেরই নিজের সীমান্তের বাইরে গিয়েও আত্মরক্ষার অধিকার আছে। এদিকে সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলন হয়। যেখানে যোগ দেন আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির সদস্যভুক্ত প্রায় ৬০টি দেশের প্রতিনিধি।
কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানান আগত নেতারা। তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় মুসলিম বিশ্ব। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন নেতারা। বলেন, এই হামলা শুধু দেশটির সার্বভৌমত্বই লঙ্ঘন করেনি, বরং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হুমকি তৈরি করেছে।
সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল। আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে এ বিষয়ে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।