ফরিদপুরের সদরপুরে একটি বাড়ি থেকে শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ ও তার অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম হুজাইফা (৫) ও মৃত মায়ের নাম সুমাইয়া আক্তার (২২)। সুমাইয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তার সিজার হওয়ার কথা ছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন হুজাইফা (৫) ও তার মা সুমাইয়া আক্তার (২২)। সুমাইয়া ফরিদপুর সদরের কৈজুরী গ্রামের বাসিন্দা রমজান খানের মেয়ে এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামের রমজান মুন্সীর স্ত্রী। ২০২০ সালে সুমাইয়ার সঙ্গে রমজান মুন্সীর বিয়ে হয়। হুজাইফা তাদের একমাত্র সন্তান ছিল। জানা যায়, রমজান দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর ছিলেন। তবে গত দুই বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বর্তমানে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
রমজানের বাবা মোতালেব মুন্সি জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির কাছে ঘাস কাটছিলেন। হঠাৎ বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি বাড়িতে আসেন। এসেই মর্মান্তিক ঘটনা জানতে পারেন। তিনি বলেন, রমজানের সঙ্গে সুমাইয়ার সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। কখনও তাদের মধ্যে কলহ হয়েছে বলে শোনা যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা জানান, সুমাইয়া ও রমজানের মধ্যে প্রায় তারা ঝগড়াঝাটি শুনতে পেতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, সুমাইয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে বাঁচানো যায়নি। আর শিশুটিকে ঘরের মধ্যেই গলা কাটা অবস্থায় কম্বল প্যাচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদেব রায় জানান, ঘটনা তদন্ত না করে বোঝা যাচ্ছে না প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল।