গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচন সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংস্কারের বিষয় চূড়ান্ত ফয়সালা করতে হলে নির্বাচন লাগবে। অভ্যুত্থান কোনো একক দল করেনি। অভ্যুত্থানে সমস্ত দল যারা আন্দোলন করেছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। দল করেন না এমন অসংখ্য মানুষ এই অভ্যুত্থানে যুক্ত হয়েছিলেন, জীবন দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার ৯ম সম্মেলনের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন ভন্ডুল হয়ে গেলে, কেউ একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে গেলে এই রাষ্ট্রে আবার অন্ধকার জেঁকে বসবে। আমরা নির্বাচন চাই, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো কোনো দল পিআর পদ্ধতি দাবি করছে। ঐকমত্য কমিশনে নিম্নকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় সংসদে পিআর পদ্ধতির কোনো প্রস্তাবই ছিল না। জামায়াতে ইসলামীকে আমরা দেখলাম সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনে নেমে গেছে নিম্নকক্ষেও পিআরের দাবিতে। জামায়াতে ইসলামী যে পদ্ধতিটি দাবি করছে সেটা তো হলো ৩০০ আসনেই পিআর। তার মানে এখানে কোনো প্রার্থীর দরকার নেই। তাহলে একেকজন নেতার নামে যেভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় সেই রকম নির্বাচন হবে। একজন নেতা, একটি প্রতীক, একটি দল তার ওপরে সব মানুষ ভোট দাও, সে ভোটে যে যত ভোট পেল সে অনুযায়ী যে যার দল মনোনয়ন দিয়ে দিবে। এটা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক জায়গা হলো না।
তিনি আরও বলেন, পিআর যদি করতে হয় মিশ্র করতে হবে। তাহলে উচ্চকক্ষে দরকার নেই, নিম্নকক্ষেই মিশ্র পদ্ধতিতে হতে পারে। আর যদি উচ্চকক্ষ লাগে তখন নিম্নকক্ষে আর পিআরের দরকার নেই। কিন্তু এইটাতো আমরা ব্যাখ্যা দিচ্ছি, আমাদের ব্যাখা মানুষ যদি ঠিক মনে করে তাহলে ঠিক হবে। যার ব্যাখ্যায় মানুষ ঠিক মনে করবেন সে অনুযায়ী ভোট হবে।
জুলাই সনদের ওপর গুরুত্ব দিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জুলাইয়ের সনদ রক্তের ওপর লেখা সনদ। এই সনদ আগামী জনপ্রতিনিধিরা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবে এমন আইন করতে হবে। কেবল অঙ্গীকারে কেউ বিশ্বাস করছে না। এই দেশের ইতিহাসে বহু অঙ্গিকার বহুজনে ভঙ্গ করেছে।’
ছাত্র ফেডারেশনের নতুন জেলা সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, মহানগর নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, ছাত্র ফেডারেশনের সদ্য সাবেক জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা প্রমুখ।
