তামিলনাড়ু রাজ্যের কারুতে নিজের সমাবেশে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয়। ঘটনার পর থেকে তিনি খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে)-এর সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, শনিবার রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকে থালাপতি কিছুই খাননি।
টিভিকে সূত্র জানায়, এ ঘটনায় শোকে মুষড়ে পড়েছেন বিজয় থালাপতি। তিনি এতটাই মুষড়ে পড়েছেন যে ওই দুর্ঘটনার পর থেকে কিছুই খাননি। গত শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে অতিরিক্ত গরম ও হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এতে পদদলিত হয়ে নারী–শিশুসহ ৪১ জন মারা যান। আহত হন প্রায় ১০০ জন।
এদিকে নির্বাচনী জনসভায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে তার টিভিকে’র দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে টিভিকের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এন আনন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সি টি নির্মল কুমার, পশ্চিম কারুর জেলা সম্পাদক মথিয়াজাগানসহ মোট ছয়জনকে।
মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে উদাসীনভাবে কাজ করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি, তামিলনাড়ু পাবলিক প্রপার্টি আইনেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও টিভেকের আইজীবীরা দাবি করেছেন, দলটি সরকারের জনসমাবেশের জন্য বেঁধে দেয়া সব নিয়ম মেনেই কাজ করেছে। দুর্ঘটনাটি থালাপতি বিজয়কে গভীরভাবে শোকাহত করেছে বলে জানান তারা।
হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিজয়। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে ২০ লাখ রুপি এবং আহত প্রায় এক’শ জনকে ২ লাখ রুপি করে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এদিকে এ ঘটনার পর বিজয়ের চেন্নাইয়ের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে বিজয়ের বাড়িতে পৌঁছাতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।