জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা ৮০ শতাংশ ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। রোববার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাশেদ। এর আগে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিষদের নেতারা।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে ৮০ শতাংশ ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে। বাকি ২০ শতাংশ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাশেদ খান বলেন, সরকার তিনটি দলকে গুরুত্ব দেয়। সেই তিন দলকে এক জায়গায় আনা যাচ্ছে না। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং সনদের পক্ষে ভোটগ্রহণ নিয়ে সবাই একমত। জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের অনুমোদন দিতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে এখনও কোনো দলের নির্বাচনী জোট হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি বলেছেন, পরিষদ ইতোমধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আরও ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা আছে জানিয়েছে রাশেদ খাঁন আরও বলেন, আমরা তাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই। তবে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
রাশেদ খাঁন বলেন, ৩০০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিকে সরকার এখনও মনোযোগ দেয়নি। নুরুল হক নুরসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। সরকার এই ঘটনার বিচার করতে না পারলে নির্বাচনী পরিবেশ কীভাবে তৈরি করবে।