বাজারে জিনিসপত্রের দাম চড়া। সবজির দাম বেশি চড়া। বোরো ধানের ভালো ফলনেও চালের দর প্রত্যাশা মত কমেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে সে চিত্রই উঠে এসেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন বলছে, গত সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছে, যা তার আগের মাস অর্থাৎ আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য, খাদ্যবহির্ভূত সব পণ্যের দাম বেড়েছে সেপ্টেম্বরে । গ্রাম ও শহর উভয় এলাকাতেই একই অবস্থা।
আজ সোমবার বিবিএসের ওয়েবসাইটে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বাবদ মানুষের খরচের হিসাবের ভিত্তিতে প্রতি মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তৈরি করে বিবিএস। দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাট-বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মূল্যস্ফীতি নিরূপণ করা হয়।
বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত খাতে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। গ্রাম ও শহরের মূল্যস্ফীতির মধ্যে বেশ ব্যবধান দেখা যায়। বিবিএসের উপাত্ত বলছে, সেপ্টেম্বরে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ, যা আগের মাস আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল খাদ্যপণ্যের চেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে সেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪০ শতাংশে উঠেছে। আগের মাস আগস্টে এ হার ছিল ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। অবশ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই খাতেরই মূল্যস্ফীতি আরও বেশি ছিল। তখন গ্রামে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে ছিল ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে শহরের উভয় ধরণের পণ্যের মূল্যস্ফীতি গ্রামের চেয়ে বেশি ছিল। শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। এখানেও খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেপ্টেম্বরে। মাসটিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্য এ হার ছিল ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ছিল ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।