ময়মনসিংহের ত্রিশালে ব্যবসার জন্য টাকা না দেওয়ায় মা-বাবাকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে মেঝেতে পুঁতে রেখেছেন ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মো. রিয়াদ হাসান রাজুকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বাশকুড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন— পিতা মোহাম্মদ আলী (৭০) এবং মা রানোয়ারা বেগম (৬০)।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনের বেলায় মা রানোয়ারা বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন ছেলে রিয়াদ হাসান রাজু। এরপর সন্ধ্যায় বাবা মোহাম্মদ আলী বাড়ির বাইরে থেকে ঘরে এলে তাকেও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে বাবা-মায়ের মরদেহ পুঁতে রাখেন। একই সঙ্গে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাভিত করতে বোনদের খবর দেন বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনার খবরে সকালে বোন জরিনা খাতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি এলে ভাই রাজুর কর্মকাণ্ডে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে ঘরের ভেতরের মেঝের মাটি খোঁড়া এবং রক্তের দাগ দেখে বোন জরিনা ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানান। এ সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীরা ছেলে রাজুকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনসুর আহম্মেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তার মনে শান্তি ছিল না। কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছেন, স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আগে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন, বর্তমানে বেকার। কিছুদিন ধরে ব্যবসার জন্য বাবা-মায়ের কাছে টাকা চেয়ে ব্যর্থ হন। তাই রাগ-ক্ষোভে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।