বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উন্নয়ন প্রকল্পে একদিকে অনিয়ম, অন্যদিকে চুক্তির বিপরীতে বেড়ে গেছে প্রকল্প ব্যয়। তবে সুষ্ঠুভাবে দ্রুত কাজ শেষ করতে চায় সংস্থাটি। এছাড়া সর্বোচ্চ কমে রফতানিকারকদের কার্গো সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি। দেশের সর্বোচ্চ আধুনিক ও বিশ্বমানের সুবিধায় নির্মিত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর এ টার্মিনালের নির্মাণ ব্যয় নিয়ে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। যা তদন্ত করছে দুদক।
শুধু তৃতীয় টার্মিনাল নয়, বেবিচকের নেয়া অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এক কর্মশালায় বেবিচক নানা বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি সংস্থাটি জানায়, অনিময় যে হয়নি তা বলা যাবে না। তবে ব্যয় বাড়ার পেছনে রয়েছে ডলারের অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধি।
সম্প্রতি পরনির্ভরতা কাটিয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থেকে শুরু হয়েছে কার্গো সার্ভিস। সর্বোচ্চ কমে ব্যবসায়ীদের এ সুবিধা দেয়ার কথা জানান চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অচিরেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো পরিবহন শুরু হবে। এর আগে আমরা সিলেট থেকে শুরু করেছি। এছাড়াও জুন মাসের মধ্যেই কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু হবে। আগামীতে যে কোন তথ্য অফিসিয়ালি সঠিক তথ্য নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব পালনের আহবান জানায় বেবিচক।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বর্তমানে সংবাদে অবাধ প্রবাহ রয়েছে। আর এ কারণে জবাবদিহি নিশ্চিত হচ্ছে। জবাবদিহি নিশ্চিতের ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। তবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে হবে। সবার আগে দেশ। এই মনোভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে।