বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিমের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ বুধবার (২৮ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ২৪ ঘমধ্যে অপসারণ করা না হলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল সমিতির সদর দপ্তরে জমা দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যে বিদ্যমান সংকট নিরসনের জন্য গত ২১ মে থেকে ৭ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আজ অষ্টম দিনের মতো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি পালিত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অধিকার আদায়ে হাজার হাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জনবলকে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ বলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ ৮ দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে বিদ্যুৎকর্মীরা মানবেতর জীবন পার করার পরও সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ কিংবা সমাধানের উদ্যোগ না নেওয়া অত্যন্ত বেদনার।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন তিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়—
১. শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি জরুরি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে আগামীকাল সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
২. আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতর আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ না হলে সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহের অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইলসমূহ সমিতির সদর দপ্তরে জমা প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৩. বর্তমানে বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা অথবা বল প্রয়োগ করে দমন-পীড়ন কিংবা আগের মতো মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানির অপচেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সমিতির ৪৫ হাজার কর্মী শহীদ মিনার অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবে।
