বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কবে হবে এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। দ্রুত কিম্বা দেরিতে নির্বাচন, যাই হোক না কেন, সেটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোনো মতামত নেই। আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া দেখছি এবং বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছি। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রাজশাহীর নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় খুবই সক্রিয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটি তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা আশা করবো গণতন্ত্রের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাইকেল মিলার বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দেয়া, ডকুমেন্টশন সঠিক না হওয়ার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। তবে আবেদন করে সফল হওয়ার সংখ্যাও কম নয়।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। সরকারকে প্রশংসা করতে হয়, কারণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চাপমুক্ত হয়ে উন্নতি করছে বলেও জানান তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অর্থায়ন নিয়ে কোনো চাপ নেই। যেকোনো মূল্যে আমরা পাশে আছি। স্থিতিশীল অবস্থা থাকবে বলেও আশা করেন তিনি। তিন দিনের সফর শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আজ সন্ধ্যায় রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফেরেন। আগের দুদিন তিনি পুঠিয়া মন্দির, জেলা নির্বাচন অফিস, চেম্বার অব কমার্স, বরেন্দ্র জাদুঘর পরিদর্শন করেন।