১৮ জুন ২০২৫ বুধবার
প্রকাশ : ৮ জুন ২০২৫, ৩:২২ পিএম

এ সম্পর্কিত আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চান টিউলিপ

প্রকাশ : ৮ জুন ২০২৫, ৩:২২ পিএম

👁 30 views

লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিক। সাক্ষাতে তিনি ‘একটি ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে চান।

বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার জেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে আসেন। এর আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ তোলে, তিনি বা তার মা ‘ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে’ ঢাকা শহরে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমি নিয়েছেন। যদিও এসব অভিযোগ তিনি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।

এবিষয় নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দ্য গার্ডিয়ানের প্রধান প্রতিবেদক ড্যানিয়াল বোফে ওই প্রতিবেদনে লেখেন, ‘একটি ভুল বোঝাবুঝি’র অবসান ঘটনাতে টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের দায়িত্বে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. ইউনূস আগামী সোমবার (০৯ জুন) যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। চার দিনের এই সফরে তিনি রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর ফাঁকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ।

চিঠিতে টিউলিপ লেখেন, আমি আশা করি সাক্ষাৎটি ‘দুদকের প্রচারিত ভুল ধারণা’ দূর করতে সহায়ক হবে। তিনি আরো লেখেন, আমি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, লন্ডনে জন্মেছি এবং গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনে পার্লামেন্টের প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলেও সেটি আমার জন্ম, বসবাস বা পেশাগত জীবনের স্থান নয়। বাংলাদেশের কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ আমার নেই।

টিউলিপ দাবি করেন, তার আইনজীবীরা দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কমিশন তাদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং ঢাকার একটি এলোমেলো ঠিকানায় চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই ‘কাল্পনিক তদন্তের’ প্রতিটি অগ্রগতি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। আপনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, আমার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই বিভ্রান্তিকর প্রচার বন্ধ হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, দুদক শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবকাঠামো খাতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে। টিউলিপ দাবি করেছেন, এটি তার খালার বিরোধীদের পরিচালিত ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’।

গত মাসে বাংলাদেশের একটি আদালত টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে তিনি জানিয়েছেন, এর সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। গত মাসে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) লন্ডনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন প্রায় ৯ কোটি পাউন্ডের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x